• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীক-রাজনৈতিক মানক্ষুন্ন করতে আনিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

ইসমাইল হোসেন, কুষ্টিয়া
Update : বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীক-রাজনৈতিক মানক্ষুন্ন করতে আনিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীক-রাজনৈতিক মানক্ষুন্ন করতে আনিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

কুষ্টিয়া জেলা স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ সেবক মোঃ আনিসুর রহমান আনিসের ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিকভাবে মানক্ষুন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপনা করে কুষ্টিয়ার স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় আনিসের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন এই কুচক্রি মহল।

কুষ্টিয়া জেলা স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সভাপতি পলান বিশ্বাস বলেন, গত ১৫/২০ দিন আগে পোড়াদহ বাজারের বিশ্বাস জুয়েলার্স’র মালিক হোসেন’র কাছ থেকে কুষ্টিয়া সোনা পট্টির বসাক জুয়েলার্স,আনিস ও আরও একটি জুয়েলার্সের দোকানদার কয়েক ভড়ি সোনা কিনেছিলো। সোনার ব্যবসায়ীরায়া একজন জুয়েলার্সের দোকানদার আরেকজনের কাছ থেকে প্রতিনিয়তই সোনা বেচাকেনা করে। হঠাৎ করে গত সোমবার ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ এসে পোড়াদহ বাজারের বিশ্বাস জুয়েলার্স’র মালিক হোসেনকে গ্রেফতার করে সোনাপট্টিতে নিয়ে এসে বলে হোসেন যেই সোনা বিক্রি করেছে সেগুলো ঢাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চোরাই সোনা। তারপর ডিবি পুলিশের লোকজন সোনাপট্টির নেতাদের সাথে করে যাচাই বাচাই করে সেই সোনাগুলো বুঝে ফেরত নিয়ে যায়।
এরপর থেকে একটি কুচক্রি মহল সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য দিয়ে আনিসের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন এবং পত্রিকায় আনিসের ছবি ব্যবহার করেছেন। আনিস স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক হওয়ার কারনে সামনে কয়েকমাস পর নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আসলে আনিসের মানক্ষুন্ন করার জন্য এই অপপ্রচারগুলো ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও পত্রিকায় যে স্বর্নালংকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আনিসসহ যারা এই সোনা কিনেছিলো এটা কাচা সোনা। আর কাচা সোনা দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এটা চোরাই সোনা। আর একজন সোনার দোকানদার আরেকজন সোনার দোকানদারের কাছে বিক্রি করেছে কোন চোরের কাছ থেকে তো এই সোনা সরাসরি কেনা হয়নি। আর এখানে কয়েকটা জুয়েলার্স থেকে এই সোনা উদ্ধার হলেও সেই নামগুলো না দিয়ে আনিসকে হাইলাইট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে একটি স্বার্থনেশী কুচক্রি মহল সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আনিসের বিরুদ্ধে এগুলো ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয় ঢাকা থেকে ছিনতাই হওয়া সোনা নিয়ে যেই কান্ড ঘটেছে তার সাথে জড়িত সকল আসামী ধরা পরলেও তাদের ছবি ব্যবহার না করে আনিসের নাম আর ছবি দিয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি কুষ্টিয়া জেলা স্বর্ণ শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে এই মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ কামাল আহম্মেদ বলেন, আমরা এক জুয়েলার্সের দোকান থেকে আরেক জুয়েলার্সের দোকানদার সোনা বেচাকেনা করি। গত কয়েকদিন আগে আনিস ও বসাক জুয়েলার্সের মালিক ধনরঞ্জন বিশ্বাস জুয়েলার্সের মালিক হোসেনের কাছ থেকে কয়েক ভরি সোনা কিনেছিলো। এখন সেই সোনা চোরাই কি ভালো সোনা সেটা তো আনিস আর ধনরঞ্জন জানেনা। পরে ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ এসে হোসেনকে গ্রেফতার করে আমাদের সোনাপট্টিতে এসে জানালো আনিস আর ধনরঞ্জন যেই সোনা কিনেছে হোসেন সেটা চোরাই সোনা বিক্রি করেছে। এটা চোরাই সোনা হোসেন বিষয়টা আনিস ও ধনরঞ্জনকে বলে নাই। পরে আমরা সেই সমপরিমান সোনা ডিবি পুলিশের কাছে বুঝ করে দিয়েছি৷এখানে আনিস ও ধনরঞ্জনের কোন দোষ নেই। আমি সাংবাদিকদেরকে এই কথা বলেছি। তারপরেও আনিসকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আমরা সোনা কিনে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্থ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কুষ্টিয়া জেলা স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস জানান, আমরা কেউ জানতাম না এটা চোরাই সোনা। গো‌য়েন্দা পু‌লিশ(ডিবি) আমা‌দের অব‌হিত কর‌লে আমরা চোরাইসোনা জানতে পেরে সেই পরিমাণ সোনা তা‌দের বুঝিয়ে দিয়েছি। এখা‌নে আমার দোষ কোথায়। আমি কুষ্টিয়া জেলা স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কারণে সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে এক‌টি পক্ষ অপপ্রচার চালা‌চ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category