• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

গাংনীতে চোখের পানি ফেলে পানির জন্য ফরিয়াদ

বিবর্তন প্রতিবেদক
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
গাংনীতে চোখের পানি ফেলে পানির জন্য ফরিয়াদ
গাংনীতে চোখের পানি ফেলে পানির জন্য ফরিয়াদ

প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের জনজীবন। প্রকৃতির বুক চিরে বের হচ্ছে গরম হাওয়া। এ অবস্থা রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় সালাতুল ইসতেসকার আদায় করেছেন মেহেরপুরের গাংনীর মুসল্লিরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে আয়োজিত এ নামাজে অংশ গ্রহণ করেন বিভিন্ন বয়সী মুসল্লি ও আলেম ওলামারা। দুই রাকাত নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এর পরে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। আল্লাহর কাছে স্বস্তির পানি চেয়ে চোখের পানি ফেলেন অনেকে। এসময় কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে রহমতের বষর্ণ এবং বিশ^ মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সায়েফ উল্লাহ মোহাম্মদ খালেদ। নামাজ শেষে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, জল ও স্থলে যে বিপর্যয় ঘটে তার জন্য মানুষই দায়ী। মানুষের গুনাহ ও পাপের কারণে এমন হয়ে থাকে। আল্লাহ আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। কাজেই আমরা গুনাহ করব। কিন্তু আমরা তওবা করছি না; ক্ষমা  চাচ্ছি না। তওবা শব্দের অর্থ হচ্ছে আল্লাহর দিকে সম্পূর্ণরুপে ফিরে আসা

চলমান তাপদাহ গজব বা মুছিবত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে। পাপ মুক্তির জন্য সারা দেশের মানুষের আল্লাহর কাছে তওবা করে ফরিয়াদ করার আহবান জানান তিনি।

নামাজের পর দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন। তিনি বলেন,  প্রচন্ড তাপদাহে ছোট ছোট বাচ্চা এবং পশুপাখিরও খুব কষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় রসুল্লাহ (স.) এঁর সুন্নাহ হল সালাতুল ইসতেসকার নামাজ পড়া। সুন্নাহ পালনের জন্য আমরা নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহ পাক নিশ্চয় তার বান্দাদের এই ভয়াবহ তাপদাহ থেকে মুক্তি দিবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category