মেহেরপুরে বিএনপি কর্মী মোসায়েদ হত্যাকান্ডে সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ^াসসহ ২৮ জনের নামে মামলা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) মেহেরপুর বিজ্ঞ আমলী আদালতে নিহতের পিতা মসলেম আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শারমিন নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আঃ মতিন, ওসি (ডিবি) ওবাইদুর রহমান, ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই বিধান কুমার বিশ্বাস, আব্বাস, অর্জুন, জিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজনসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, মোসায়েদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির’র তৃণমূল পর্যায়ের একজন কর্মী। যার কারণে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মোসায়েদকে রাত ১টার দিকে গ্রেফতার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে ৩ জানুয়ারি সদর উপজেলার বাড়ীবাকা গ্রামের সেনপাড়া নামক স্থানে আনুমানিক রাত ১২টা ২০ মিনিটের সময় ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ১৯-২৮ নং আসামি আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মদদে ১-১৮ নং আসামিরা মোসায়েদকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে গুলি করে হত্যা করে।
মামলার বাদী মসলেম আলী বলেন, আমার ছেলেকে রাত ১টার ধরে নিয়ে যায় সদর থানা পুলিশ। সকালে আমি ও আমার বৌমা জিনিসপত্র ও খাবার নিয়ে মোসায়েদের সাথে দেখা করে আসি। রাতে আবার খাবার দিতে গিয়ে দেখি থানায় আমার ছেলে নেই। পরেরদিন আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়। হত্যার বিষয়ে আমাকে কিছু না জানিয়ে তড়িঘড়ি করো পোস্টমর্টাম করে আমার বাড়িতে লাশ পাঠিয়ে দেয়। তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিলে আমাকেও খুন ও গুম করার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগষ্ট গণ বিপ্লবের পর দেশে ন্যায় বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তথ্য উপাত্য সংগ্রহ করে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলার জন্য আবেদন করেছি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে আমি চাইবো যে কয়জনকে আসামি করা হয়েছে সকলের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।