সম্ভাবনাময়ী মধ্য প্রাচ্যের খেজুরের চাষ ও উৎপাদনে গবেষণায় বেশ সাফলতা পেয়েছে সমন্বিত মুজিবনগর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন।
বিপনন ও খেজুর সংরক্ষণের বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন। মেহেরপুরের আবহাওয়া ও মাটি খেজুর চাষে উপযোগী হওয়ায় খেজুর চাষে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের প্রাচীরের কোল ঘেষে শোভা পাচ্ছে খেজুর গাছ। সারি সারি খেজুর গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে খেজুর। কোনটা হলুদ, সবুজ আর খয়েরি রংয়ের।
খেতে সুস্বাদু আর পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ এই খেজুর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে এর চাষ হলেও বাংলাদেশে এটির চাষ শুরু হয়েছে বছর দশেক আগে। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিবনগরে এ খেজুর চাষের উপর গবেষণা শুরু হয়।
রোপন করা হয় ১২টি জাতের দু’হাজার ৩২৪ টি গাছ। ২৯ টি খেজুর গাছ থেকে এ বছর ১২ মন খেজুর আহরণ করা হয়। এর মধ্যে আজুয়া, আম্বর, লুলু ও মরিয়ম উল্লেখ্য।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করে তা রোপন করা হয়। বাংলাদেশ রাইস রিসার্স ইনিস্টিটিউটের প্রকল্প উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ গাছ গুলি বেড়ে উঠে।
২০১৯ সালে কয়েকটি গাছে খেজুর আসে। শুরু হয় সংরক্ষণ ও বিপননের উপর গবেষণা যা এখন চলমান।
সংরক্ষণ ও বিপননের বিষয়টি গবেষণায় সাফলতা পেলে এ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে খেজুর চাষ হবে ।
সেই সাথে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন রাইস রিসার্স ইনিস্টিটিউট কুষ্টিয়া অঞ্চলের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মাহাবুবুর রহমান দেওয়ান।