চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদি ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
কিন্তু রাত থেকেই ঘোষিত কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
রোববার রাত সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ চলে। ১, মো. ইলিয়াসকে (অছাত্র, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও টেন্ডার বাজ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। ২, পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করতে হবে। ৩, সকল অছাত্র, শিবির, বিএনপি-জামাত ও বিবাহিত কর্মীদের ঘোষিত কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে। ৪, আমাদের ৫০ জন ত্যাগী, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে আজকের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান করতে হবে। ৫, পদবীতে সিনিয়র জুনিয়র ক্রম ঠিক করতে হবে।
এই ৫ দফা দাবি তুলে নেতাকর্মীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই দাবি আদায় না হবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাদের এই অবরোধ চলবে।
এদিকে সোমবার (১ আগস্ট) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিকাল ৩ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, মৌলবাদী জামাত-শিবিরের ক্যান্টনমেন্টকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের মিনি ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে বিনির্মাণ করেছেন। ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে বিবাহিত অছাত্র জামাত-শিবির ব্যাকগ্রাউন্ড কর্মীদের বিভিন্ন অপরাধীদের দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এরই প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দিই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
গত রোববার (৩১ জুলাই) গভীর রাতে ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দুটি ইউনিটের কমিটির তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনটি। এতে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর রয়েছে। চবির কমিটিতে সভাপতি ছিলেন রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সাথে ৬৯ জন সহসভাপতি, ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে।