ছাত্রলীগের সমাবেশে বিএনপির ধাওয়ার আসল ঘটনা কি? এমনই প্রশ্ন সকলের মাঝে।
বিএনপির সাথে আতাত করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ ঘটনার জন্ম দিতে পারে বলে মন্তব্য অনেকেরই।
মকবুল হোসেন মেঘলা ও আসিফ ইকবাল অনিকের একান্ত আলাপের ছবি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে।
সকল প্রশ্নের উত্তর এখন একই স্থানে বলে জানিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার(১৩ আগস্ট) বেলা ১২ টায় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ এক প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে।
সরকারী কলেজ মাঠ থেকে মিছিল বের হয়ে বাস স্ট্যান্ডে সমাবেশ শুরুর আগেই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক ও তার অনুসারী তন্ময় ও নয়নসহ কয়েকজন বিএনপি অফিসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সমাবেশ চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলাসহ ৫-৬ জন নেতাকর্মী।
তাদের হাতে রাম দা, বটি ও লাঠি ছিলো তাই মুহুর্তেই দুই শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছুলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবারও বিএনপি অফিসে হামলা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ছাত্রলীগকে ধাওয়া করার পর থেকেই গাংনী বাজারে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
ইতোমধ্যে এ প্রতিবেদকের হাতে আসে, গত শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগকে ধাওয়া করা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলার সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ আসিফ ইকবাল অনিকের একান্ত আলাপচারিতার ছবি।যেটি বুধবার (১০ আগস্ট) রাত ৯ টা ২১ মিনিটে তোলা।
অন্যদিকে ১৩ তারিখে দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটায় বিএনপি। এই একটি ছবিই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে।
হামলাকারীদের সাথে পূর্বপরকিল্পিত ভাবেই ধাওয়া করানোর অভিযোগের তীর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিকের দিকে।
এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক বলেন, আমাদের কোন প্রস্তুতি ছিলো না। গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি।
সেখানেতো অনেকেই ইটপাটকেল মেরেছে। এখন সামাজিকভাবে একটা মানুষের সাথে বাজার ঘাটে দেখা হলো তাই তার সাথে কথা বলেছি। এখানে দোষের কিছু নেই।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু জানান, আমাদের কোন পূর্বপ্রস্তুতি ছিলো না। হঠাৎ মিছিলের সিদ্ধান্তও আসিফ ইকবাল অনিকের।
আমাকে ১১টার সময় মিছিলের কথা জানানো হয়। আমরা শান্তিপূর্ন মিছিল ও সমাবেশ করছিলাম।
সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার আগেই অনিক ও তার অনুসারীরা কয়েকজন বিএনপি অফিসে ইটপাটকেল ছুড়ে চলে আসে।
এবং পরবর্তীতে আমরা খেয়াল না করতেই যারা ইটপাটকেল ছুড়ে এসেছিলো তারা দৌড় দিলে সকলেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ঐ সময় বিএনপি অফিসে হামলা করার কোন কথা ছিলো না।
এটা পূর্বপরিকল্পিত কিনা তা আমরাও খোঁজ খবর নিচ্ছি। সংশ্লিষ্টতা পেলে সাংগাঠনিক ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।