মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে স্বপ্নীল (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যুতে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
হাসপাতালে স্বপ্নীলের মৃতদেহ নিয়ে আসা স্থানীয়রা দাবি করেছে স্বপ্নীল ফুটবল খেলতে গিয়ে আঘাত লাগার পরে সে বাড়িতে গিয়ে মারা যায়। স্থানীয়রা দাবি করে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। স্বপ্নীল গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে আজ দুপুরে জোরপুকুরে বাড়ির পাশে একটি বাগানে সহপাঠিদের সাথে ফুটবল খেলছিলো। খেলা চলাকালীন সময়ে ফুটবলের আঘাতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে সে বাড়িতে যায় এবং অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
জোরপুকুরিয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি এই মৃত্যু পারিবারিক কলোহের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে জানিয়েছেন স্বপ্নীল অনলাইনের মাধ্যমে স্কেটিং জুতা ও হাত ঘড়ি কেনার জন্য মায়ের কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নেন। পরবর্তীতে সে আরও কিছু টাকা মায়ের কাছে চাইলে দেবে না বলে জানায়। এ সময় তার মায়ের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সে অভিমান করে পাশের রুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ফুটবল খেলতে গিয়ে বলের আঘাতে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।