কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রেমের কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার মুল আসামি আলম হোসেনকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮জুলাই) বিকালে খোকসা জানিপুর থেকে তাকে আটক করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
আটক আলম হোসেন নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া গ্রামের মুন্সির ছেলে।
জানা গেছে, নন্দলালপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর কলমমোড় মাঠপাড়া গ্রামের করিমের মেয়ের সাথে একই এলাকার কলেজ ছাত্র যোগেশের ছেলে নিহত নয়নের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ইতোপূর্বে ভিন্ন ধর্মের ছেলে-মেয়ের এই সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠক হয় এবং নয়নকে তার পরিবারের লোকজন বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে।
কিন্তু তারপরও তাদের প্রেমের সম্পর্কে অটুট থাকার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
গত শনিবার ১৬ জুলাই দিনগত গভীর রাতে মেয়ের পরিবারের লোকজন কৌশলে নয়নকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সোন্দাহ নতুন পাড়া মাঠের মধ্যে পিটিয়ে রাস্তার পাশে মারাত্মক জখম অবস্থায় ফেলে যায়।
রবিবার ১৭ জুলাই ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নয়নের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে বললে পথে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহত নয়নের বাবা যোগেশ কুমার সরকার তার ছেলের হত্যার সাথে জড়িত হিসেবে আলম হোসেনকে প্রধান আসামি করে প্রেমিকার বাবা করিমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার নয়নের মরদেহ সৎকার করা হয়েছে।
নিহত কলেজ ছাত্র নন্দলালপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের দিনমজুর যোগেশ কুমার সরকারের ছেলে নয়ন কুমার সরকার (১৯)। সে আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো।
কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ভিন্ন ধর্মীয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে রেষারেষি ছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে এবং হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।