কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ৬ নং চাপড়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এক দম্পতির বিয়ের ১৭ বছর পর আনুষ্ঠানিকতা সম্পুর্ন করছেন ঔ দম্পতি। বিষয়টি কুষ্টিয়া সহ সারাদেশে ব্যাপক সারা ফেলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সংবাদমাধ্যমে।
বাবা মায়ের বিয়ের দাওয়াত কয়জনা খেতে পারে। এমন সভাগ্যবান সন্তান খুব কমই হয়। বাবা মায়ের বিয়ের দাওয়াত খেয়ে খুশী ১৭ বছর পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পুর্ন করা দম্পত্তির সন্তানেরা। বিয়ের প্রায় ১৭ বছর পর ১০০ বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেন এক দম্পতি।
আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের পাশাপাশি তাঁদের সন্তানেরাও ছিলেন বরযাত্রী হিসেবে। গান বাজনা বাজিয়ে বরযাত্রী নিয়ে দম্পতি ঘুরেছেন সাতটি গ্রাম। এমন বিয়ের অনুষ্ঠান এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
গতকাল শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। দম্পতি হলেন ওই গ্রামের দিয়ানত ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৬) ও মৃত লোকমান শাহের মেয়ে হেলেনা খাতুন (৩০)।
সাইফুল বর্তমানে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তবে বর সাইফুল ইসলাম বলছেন মানত রক্ষার্থে ১৭ বছর পরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলাম। নিজের ছেলে মেয়েরাও অনুষ্ঠানে ছিলেন।বরযাত্রী নিয়ে গান বাজনা বাজিয়ে ঘুরেছি সাত গ্রাম।
দম্পতি ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সাইফুল ও হেলেনার মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় ১৭ বছর পূর্বে গ্রামবাসী জোরপূর্বক তাঁদের বিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এমন বিয়ে সেদিন মন থেকে মেনে নিতে পারিনি সাইফুল। মনে মনে মানত করেছিলেন সামর্থ হলে ১০০ বরযাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন। তাই মানত রক্ষার্থে শুক্রবার আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী ও তাঁদের দুই সন্তানসহ প্রায় ১০০ বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করছেন।
গান বাজনা বাজিয়ে প্রায় সাত গ্রাম ঘুরেছেন বর, বউ ও বরযাত্রীরা। এবিয়ষে বর সাইফুল ইসলাম বলেন ১৭ বছর আগে গ্রামবাসী জোর করে বিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ে মন থেকে মানতে পেরেছিলাম না। তাছাড়াও অনুষ্ঠান করে বিয়ের সামর্থ ছিলোনা তখন। তাই মানত করেছিলাম। এখন সামর্থ হয়েছে।
আজ ১০০ বরযাত্রী নিয়ে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান করেছি। অনুষ্ঠানে ১০ বছর বয়সের ছেলে ও ৭ বছর বয়সের মেয়েও ছিল। আজ থেকে বিয়ে মেনে নিলাম। চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামূল হক মঞ্জু বলেন ফেসবুকে দেখেছি গান বাজনা বাজিয়ে বরযাত্রী নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছে বর বউ। বিষয়টি বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।