• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

শ্রমিকের অর্থ মেহেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পকেটে

বিবর্তন প্রতিবেদক
Update : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
শ্রমিকের অর্থ মেহেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পকেটে
শ্রমিকের অর্থ মেহেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পকেটে

খাদ্য গুদামের শ্রমিকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মেহেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্টেন্সিল সিল মারাসহ শ্রমিকদের নয় টি বিল তুলে পাঁচ টি দিয়ে বাকি চারটি পকেটস্থ করেছেন জেলা কর্মকর্তা।

সম্পূর্ন বিল না পেয়ে ক্ষোভে অনেক সময় আগত মালামাল ট্রাকেই থাকে দির্ঘ সময়। বিল না দিয়েই হুমকি ধামকি দিয়েই বাধ্যতামূলক ট্রাক থেকে মালামাল নামাতে বাধ্য করছেন খাদ্য গুদামের পরিদর্শক (ওসিএলএসডি)। শ্রমিকরা জানে না তাদের মোট বিল কত টাকা। এ সকল বিলের হিসেব বলতে সময় লাগবে তবে কতক্ষণ বা কয়দিন লাগবে তা জানাতে পারেননি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে ওএমএসের ময়দার জন্য গম লোড করা হচ্ছে ট্রাকে অটো ফ্লাওয়ার মিলে পাঠানোর জন্য। অপর দিকে একটি ট্রাক মালামাল নিয়ে দাড়িয়ে আছে শ্রমিকের অপেক্ষায় আনলোড করানোর জন্য। কিন্তু শ্রমিকদের সব বিল না দেওয়ায় তারা ট্রাক আনলোড করতে নারাজ।

সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক (ওসিএলএসডি) বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিয়ে এক প্রকার জোর করেই সে কাজ করিয়ে নিয়েছে। তবে সাহস করে টাকা আদায় করতেও পারছে না যদি কাজ থেকে বের করে দেয় সেই ভয়ে। অন্যদিকে গাংনী খাদ্য গুদামের শ্রমিকরা ট্রাক থেকে মালামাল আনলোড করতে দেখা গেলেও তাদের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, জেলা খাদ্য অফিসার আমাদের অফিসে ডেকে আমাদের ৫ টি বিল দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ৯ টি বিল পাওনা হয়েছে। বলেছে এই টাকায় বিল পরিশোধ। এবং স্টেন্সিল মারার কোন টাকা আমাদের দেয়নি।

গাংনী খাদ্যগুদামের শ্রমিকরা জানান, আমাদের বিল একটু দেরিতে হয় কিন্তু আমাদের এখনো দুইটা বিল বাকি রেখেই বলেছে আর কোন বিল আমরা পাবো না। স্টেন্সিল সিল মারার বিলের কিছুই জানি না।

জানা গেছে, এসকল বিলের টাকা আসে সংশ্লিষ্ট খাদ্য পরিদর্শকের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। কিন্তু বিল প্রদান করা হয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে। সকল শ্রমিক মেহেরপুর অফিস থেকেই তাদের টাকা সংগ্রহ করেছিলেন।

শ্রমিকের কয়টি বিল এবং কত টাকা তা জানতে চাইলে সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক আহসান কবীর বলেন, শ্রমিকের কত টাকা বিল তা আমার জানা নেই, সব টাকার হিসেব ডিসি ফুড স্যার জানেন। আমার এখানে কোন হিসেব নেই। জেলা অফিসে গিয়ে খোঁজ নিন তাহলেই সব পাবেন।

একই বিষয়ে গাংনী খাদ্য পরিদর্শক হাসান সাব্বীর বলেন, স্টেন্সিল মারা ও শ্রমিকের কত টাকা বিল তার কিছুই আমি জানি না। এখান থেকে শ্রমিকরা মেহেরপুর গিয়ে জেলা অফিস থেকে বিল নিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান জানান, সংশ্লিষ্ট খাদ্য পরিদর্শকদের মাধ্যমে শ্রমিকের বিল দেওয়া হয়েছে। সব বিলই দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিকদের বিল স্টেন্সিল মারা বিল মোট কত এবং কত টাকা প্রদান করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হিসেব করে বলতে সময় লাগবে। কিন্তু কতোক্ষণ বা কতোদিন সময় লাগবে তা তিনি জানাতে পারেননি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category