মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল মান্নানকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক মিঠুর বিরুদ্ধে হত্যা সহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানববন্ধন করছে গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে মহাজনপুর বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গ্রামবাসী।
মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন কালু, ফিদু শেখ, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন লাভলু, ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন, মহাজনপুর ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি গুলশান আরা রুনু, সাবেক ইউপি মহিলা সদস্য গুলতা খাতুন প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মিঠু মহাজনপুর ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনি, বোমাবাজ, ধর্ষক এবং অন্ধকার জগতের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। তার পৈতৃক নিবাস কোমরপুর গ্রামে। সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে মিঠু ২০০০ সালের দিকে মহাজনপুর গ্রামে তার মামার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এই গ্রামে আসার পর পর তার মামা ইজারুল ও এনামুল হকের পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন অপকর্মে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, নারীদের শ্লীলতাহানি, জমি দখল, সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি, মাঠের ফসল কাটা এমন কোন অপকর্ম নেই যা মিঠু করেনি। গ্রামে সে এবং তার পরিবার ক্যাসিনো সম্রাট নামে পরিচিত।
সে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এজেন্ট ব্যাংক এবং জুয়ার চ্যানেল দেওয়ার নামে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বহু নারী কেলেঙ্কারির হোতা এই মিঠু। পরিবারের মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে এবং মিঠুর ভয়ে কেউ মুখ না খোলায় এসব ঘটনা ধামা চাপা পড়ে যায়। বক্তারা আব্দুল মান্নানের হত্যাচেষ্টাকারী মিঠুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ মহাজনপুর বাজারের কাছে তাপুর বাড়িতে ভাংচুর করে এবং বাড়ি সংলগ্ন দোকানের মালামাল লুটপাট করে। এ ঘটনায় তাপুর মামা ডাঃ আব্দুল মান্নান প্রতিবাদ করায় ২৯ মার্চ বিকেলে প্রকাশ্য দিবালোকে মিঠু আব্দুল মান্নানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।