• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সালাম ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা

বিবর্তন প্রতিবেদক
Update : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সালাম ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সালাম ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা

মেহেরপুর দারুস সালাম ক্লিনিকে অপারেশনের টেবিলে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা করেছে আদালত।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ম আদালতের বিচারক এস এম শরিয়তউল্লাহ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলা করেন। যার মামলা নং-মিসকেস ০২/২০২৩।

মামলায় মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মেহেরপুর সিভিল সার্জনকে আগামী ৯ ফেব্রয়ারির মধ্যে জেলার হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, সংবাদ দৃষ্টে দারুস সালাম ক্লিনিকে অপারেশনের সময় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে মর্মে দেখা যায়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ মৃত্যুর বিষয়টি স্বাভাবিক নয় মর্মে পরিবারের সন্দেহ করছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। অপারেশনের সময় এনেস্থেসিয়োলজিস্ট হিসেবে যে ডাক্তারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি অপারেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন না মর্মে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এটা সঠিক হয়ে থাকলে তা একটি গুরুত্বর আইনের লংঘন এবং ইচ্ছাকৃত অবহেলা যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনার বিষয়ে এখনও কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আদালতের গোচরীভূত হয়েছে। এমতবস্থায় জনস্বার্থে ও ন্যায় বিচারের উদ্দেশ্যে পুরো ঘটনাটির বিষয়ে প্রশাসনিক তদন্তের পাশাপশি একটি বিস্তারিত অনুসন্ধান হওয়া সমীচীন বলে আদালত মনে করে।

সার্বিক বিবেচনায় The Coad of Criminal Procedure,, ১৮৯৮ এর ধারা ১৯০ (১) (গ) অনুযায়ী বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত উপযুক্ত সংবাদটি বিবেচনায় নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মেহেরপুর সদর সার্কেল (সয়ং)-কে উল্লেখিত বিষয়ে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে অন্যান্য বিষয়ের সাথে আরও কয়েকটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেগুলো ক্লিনিকটির লাইসেন্স আছে কি-না, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্লিনিকটি অনুমোদন হয়ে থাকলে সেটি নবায়নকৃত কি-না, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র/অনুমোদন আছে কি-না, ক্লিনিকটিতে সার্বক্ষনিক ডাক্তার আছে কি-না, অপারেশন পরিচালনাকারী ডাক্তারের সার্জারি ডিগ্রি আছে কি-না, অপারেশনের সময়ে এনেস্থেসিয়োলজিস্ট হিসেবে কোন উপযুক্ত ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন কি-না, প্রি এনেস্থেসেয়িটিক চেক-আপসহ অপারেশনের জন্য নির্দিষ্ট মানদন্ড অনুসরণ করা হয়েছিল কি-না, সহায়ক নার্সদের উপযুক্ত ডিগ্রি ছিল কি-না। এছাড়া The Medical Prectice and Private and Laboratories (Regulation) Ortdinance, ১৯৮২, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ক্লিনিকটি পরিচালিত হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category