• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন

গাংনীতে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার অবরুদ্ধ

বিবর্তন প্রতিবেদক
Update : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
গাংনীতে  শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার অবরুদ্ধ
গাংনীতে  শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার অবরুদ্ধ

মেহেরপুরের গাংনীর করমদী দারুচ্ছুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার আবু জাফরের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৫মার্চ) সকালে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকগন সুপারকে গ্রেফতারসহ বহিষ্কার ও বিচারের দাবীতে মাদ্রাসা ঘোরাও করে সুপারকে একটি রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানা পুলিশ মাদ্রাসার সুপার আবু জাফরকে তালা ভেঙ্গে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা জানান, গত বৃহষ্পতিবার মাদ্রাসা সুপার আবু জাফর নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার রুমে ডেকে নেয় এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার সহপাঠি ও অভিভাবকদের জানালে সকলেই ফুঁসে উঠে। তারা রোববার সকালে মাদ্রাসা ঘেরাও করে এবং সুপার আবু জাফরকে একটি কক্ষে তালা বদ্ধ করে রাখে। তারা সুপারের বহিষ্কারসহ গ্রেফতারে ও বিচারের দাবী তোলেন। খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে তালাভেঙ্গে মাদ্রাসা সুপারকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দির্ঘদিন যাবত মাদ্রাসা সুপার আবু জাফর তাদের কাছে মোবাইল ফোন নম্বর চান এবং গোপন কথা বলে কু-প্রস্তাব দেন। মান সম্মানের ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। গত বৃহষ্পতিবার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানী করে। সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তারা মাদ্রাসাতে আসবেন না বলেও জানান।
করমদি গ্রামের সাইদুর রহমান জানান, সুপার আবু জাফর চরিত্রহীন। সে ছাত্রীদের কাছে গোপন কথা বলার জন্য মোবাইল নম্বর চান এবং কুপ্রস্তাব দেন। ইতোপুর্বে এক ছাত্রীর শ্লীলতা হানীর অভিযোগে তাকে জুতার মালা পরিয়ে মাদ্রাসা চত্ত্বর ঘোরানো হয়। তার পর ক্ষমা চাওয়ায় তাকে মাদ্রাসাতে আসার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এবার আর কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। একই কথা জানিয়েছেন অন্যান্য অভিভাবকরা।
করমদি গ্রামের সাবেক মেম্বর সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীর অভিভাবকের মোবাইল ফোনের সংবাদ পান। ছাত্রীর ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনার পর অন্যান্য অভিভাবকদের জানানো হয়। পরে মাদ্রাসাতে আসলে সুপার আবু জাফর ঘটনাটি অস্বিকার করেন। এতে অন্যান্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ফুঁসে উঠে মাদ্রাসা ঘেরাও করে সুপারকে তালাবদ্ধ করে রাখে।
মাদ্রাসা সুপার আবু জাফর জানান, তার বরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সব মিথ্যা ও সাজানো নাটক। তাকে অপসারণের জন্য স্থানীয় লোকজন পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ করছেন।
করমদী দারুচ্ছুন্নাহ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুন জানান, ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ এবং কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category