ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফুলপরী খাতুন নামে নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রলীগ নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার ( ১ মার্চ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি সূত্র জানা যায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা (সহসভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), তাবাসসুম ইসলাম (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), হালিমা খাতুন ঊর্মি (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), ইসরাত জাহান মিম (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এবং মোয়াবিয়া জাহান (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা)— কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে নির্যাতনের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন বলেন, এরা বহিস্কারের ই যোগ্য সেই রাতগুলোতে আমার ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে, তার উপযুক্ত শাস্তি তাঁরা পেতে শুরু করেছে। সবেমাত্র ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার নয় আমি তাদের স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল চাই। তা না হলে ক্যাম্পাসে ফিরলে আমাকে মেরে ফেলার আশঙ্কা থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।