মেহেরপুরে গাংনীতে তহিদুল ইসলাম ও বাহাজেল হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
আসামীদের মধ্যে বাদল জেল হাজতে রয়েছে বাকি দুই জন আলামিন হোসেন ও হাশেম আলী পলাতক রয়েছে। রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার রিপতি কুমার বিশ্বাস এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে তহিদুল ইসলাম গাংনী উপজেলার নওয়া পাড়ায় বাহাজেলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তারা একটি চৌকির উপর বসে গল্প করছিলো।
এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। তাদের দেখে তহিদুল ইসলাম পালিয়ে গিয়ে একটি ঘরের কোনে অবস্থান নেয়।
সন্ত্রাসীরা তাকে না পেয়ে বাহাজেলকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের ভারতী সীমান্তে তহিদুলে লাশ পাওয়া যায়।
এদিকে বাহাজেলকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাহাজেল মারা যান।
২০০৫ সালে ৭ জানুয়ারী গাংনী থানায় ১৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম। ঐ মামলায় ২০০৫ সালের ৮ মে ১৩ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন তৎকালীন গাংনী থানার এস.আই মেজবা উদ্দীন আহম্মেদ ও এস.আই আনোয়ার আলম আজাদ।
১৮ জন সাক্ষির সাক্ষ্য শেষে আদালতে ঐ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. কাজী শহিদুল ইসলাম ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. এ.কে.এম শফিকুল আলম।