মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শোলমিরি পাঠানপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আহতরা হলো, মৃত কলিমুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মকলেসূর রহমান (৫৩), মৃত কলিমুদ্দিনের ছেলে জসেদ হোসাইন (৩৭), মৃত মোফেল মালিথার ছেলে আব্দুর রেইজ (৫৪), তাহাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী (২০), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে লিপ্পন (১৯), মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাকিব (২৩), সিরাজ আলীর ছেলে আজিজুল হোসেন (৫২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে কাউছার আলী একটি খাস জমি হাফিজুলের কাছে বিক্রি করে। সেই থেকেই হাফিজুল ওই জায়গাতে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করেই ওই জমি আব্দুর রয়েস ও আব্দুর রশিদ নিজেদের দাবী করে। এঘটনায় আদালতে দু’পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। গত ১৫ দিন আগে আদালত থেকে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আদালতের আদেশ অমান্য করে জোর জমি দখলের চেষ্টা করে ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং হাফিজুলকে জমি ছেড়ে দিতে হুমকি দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ঘর মেরামত করে হাফিজুলকে বসবাস করার কথা বলে আসে।
পরে মোকলেচ, জসেদের নেতৃত্বে আবুল হাশেম, মেহেদী, সাকিব, রিপনসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল আবারও হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দেয়। এসময় নারীসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়। পরে রাতে আবারও হাফিজুলের প্রতিবেশি আজিজুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করে। বর্তমানে আজিজুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
এ ঘটনার জেরে বুধবার সকালে আবারও হামলাকারীরা হাফিজুলের বাড়িতে আগুন দিয়ে সমস্ত কিছু জ্বালিয়ে দেয় এসময় জয়নাল ডাক্তারের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা হাফিজুলের চাচাতো ভাই হামিদুল কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা হামিদুলকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।