ঋণ জালিয়াতির মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিত আসামিরা হলেন, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নীট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদের মধ্যে শেখ আলতাফ হোসেনকে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রতারণার দায়ে তাকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া অন্য ৮ জন আসামিকে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রতারণার দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে ৯ আসামিকে ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকুলে আদায় করা হবে।
দন্ডিত ৯ আসামির সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এদিন রায় ঘোষণার আগে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর ৫ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি
দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ২২ মে মামলা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এরপর ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।