দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে দলীয় মনোনয়ন (নৌকা) প্রতীক পেতে তিনি শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় উপস্থিত ছিলেন ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু, উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি নবীরুদ্দীন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবির হামজা, তুহিন রেজা, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ডালিম রানা, সাধারণ সম্পাদক নাছিরুল হক মোহন ও ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ।
দেড় যুগ পর অনেক বাঁধা বিপত্তি পার করে ২০২২ সালে চমক দেখিয়ে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করেন মোখলেছুর রহমান মুকুল। পদ প্রত্যাশী অনেক নেতাকে পেছনে ফেলে মুকুল এখন সামনের কাতারে। সম্মেলনের পর থেকে নানাভাবে আলোড়ন সৃষ্টি মাঠের রাজনীতিতে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই দেখা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ত্যাগী এই নেতাকে।
২০১৪ সাল পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকার পর পদ শূণ্য হয়ে পড়েন মোখলেছুর রহমান মুকুল। ১৯৭৯ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ। পরে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। আপাদমস্তক একটি রাজনৈতিক পরিবারের মানুষ হিসেবে তাদের পরিচিতি। আখতারুজ্জামান বাবুসহ পরিবারের লোকজন পাশে থেকে সাহস জোগায় মুকুলকে। বাবুর সাংগঠনিক দক্ষতাও নেতাকর্মীদের কাছে প্রসংশিত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর থেকই মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন মুকুল ও তার ভাই আক্তারুজ্জামান বাবু। এছাড়াও গাংনী থানা রোডে বাড়ির সাথেই ব্যক্তিগত কার্যালয়ে চলে রাজনৈতিক সকল কার্যক্রম। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধ বিরোধী আন্দোলনেও মোখলেছুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রয়েছেন রাজপথে।