মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তান ও স্বামী প্যারালাইজ্ড। এ দুজনকে দেখভাল করতে গিয়ে নিজেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন গৃহবধু নুরজাহান। তার হার্টের একটি বাল্ব অকেজো হয়ে পড়েছে। দ্রুত অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এ জন্য প্রয়োজন বড় অংকের টাকার। অন্যথায় তাকে মরতে হবে ধুকে ধুকে। ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনীর আযান গ্রামের। ওই গৃহবধুর স্বামীর নাম মোজাব উদ্দীন । একমাত্র ভরসা হিসেবে স্বামী ও সন্তানের জন্যই তিনি বাঁচতে চান।
স্থানীয়রা জানান, মোজাব উদ্দীনের চার সন্তান। মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ফকিরুল ইসলামকে নিয়েই তার সংসার। স্ত্রী নুরজাহানকে নিয়ে কোনমতে সংসারের দিনপাত চলছিল। কিন্তু ঘটে যায় বিপত্তি। ৮ বছর আগে স্বামী মোজাব উদ্দীন স্ট্রোক করেন। এতে বাম হাত ও পা অকেজো হয়ে যায়। হাল ছাড়েননি নুরজাহান। বাড়িতে গবাদি পশু লালন পালন করা ছাড়াও মানুষের দান দক্ষিণা নিয়ে সংসার খরচের পাশাপাশি স্বামীর চিকিৎসা করাতেন। আশা ছিল, স্বামীকে তিনি সুস্থ করে তুলবেন। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবেছে নুরজাহানের। হঠাত অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
নুরজাহান অসুস্থ হলে তার মেয়ে ছাবিনা খাতুন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকগন তাকে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হবার জন্য নুরজাহানকে নেয়া হয় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎক একেএম মহিউদ্দীন ভুইয়ার তত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। হার্টের বাল্ব অকেজো হবার কথা বলে তিনিও অপারেশনের পরামর্শ দেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় নুরজাহান এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
নুরজাহানের মেয়ে ছাবিনা জানান, বাবা মোজাব উদ্দীন ও ভাই ফকিরুলকে দেখা শোনা করতে গিয়ে মা নুরজাহান অসুস্থ হয়ে পড়ে। মায়ের উপরই নির্ভর ছিলো গোটা সংসার। ভাইদের মধ্যে একজন অসুস্থ। তারও সাংসারিক অবস্থা ভাল নয়। বাবা মাস তিনেক আগ থেকে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইটির জন্য সরকারী সহায়তা পান মাত্র ৫০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে নিজেদেরই ওষুুধ কেনা হয় না। এমন কোন সম্পদও নেই যা বিক্রি করে মায়ের চিকিৎসা করানো যাবে। অপারেশনের জন্য অন্ততঃ ৮ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মায়ের জিবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন মেয়ে ছাবিনা খাতুন। তার বিকাশ ও নগদ হিসাব নম্বর ০১৯৩১৫১৮৮০৮।