চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক সুনীল কুমার দাসকে হত্যার দায়ে দুই ভাইসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মাসুদ আলী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, আলমডাঙ্গার রায়লক্ষীপুর গ্রামের কালু ফকিরের ছেলে সুলতান হোসেন (৫৫), লালু মন্ডলের ছেলে লিয়াকত আলী ওরফে ন্যাকো (৫৮) ও তার ভাই শওকত আলী (৬০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দন্ডিত আসামিরাসহ অন্তত ১৫-১৬ জন ব্যক্তি সুনীলদের বাড়িতে গিয়ে সুনীলকে তার গায়ে থাকা চাদর দিয়ে দু’হাত বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সুনীল। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই অনিল কুমার দন্ডিত আসামিসহ অজ্ঞাত আসামিদের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলায় মোট ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামি সুলতান হোসেন, লিয়াকত আলী ও শওকত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। একইসাথে দন্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দন্ডাদেশ দেয়া হয়।
অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াসউদ্দিন জানান, এ হত্যা মামলায় মোট আসামী ছিলেন ২৫ জন। তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। মামলার বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়।