কুষ্টিয়ার আকাশে ভাসছে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের পতাকা সেই সাথে বাড়ছে ফুটবল প্রেমীদের উন্মাদনা। এতে পিছিয়ে নেই কুষ্টিয়া এলাকার ফুটবল প্রেমিরা আর এরই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাকচি সাঁত পাখিয়া গ্রাম থেকে শুরু করে খোকসার উপজেলার গ্রোপগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ এলাকা পযন্ত টাঙানো হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা।
রাস্তার দুপাশ দিয়ে বিস্তীর্ণভাবে ছেঁয়ে গেছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল ভক্ত সমর্থকদের সারিসারি পতাকা। আজ সকালে সীমান্তবর্তী এই এলাকা ঘুরে দেখা যাই প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে পতাকা টাঙানোর মহোৎসব। পিচঢালা রাস্তার এক পাশ দিয়ে আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা ১ হাজার ৫০ হাত পতাকা টাঙিয়েছেন। অপর দিকে খেলার মাঠের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের সমর্থকেরা টাঙিয়েছেন ৮ শত ৫০ হাত পতাকা। খবর পেয়ে দুর-দুরান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই এলাকায়। অনেকে আবার স্মার্টফোনে ছবি তুলছেন। সেই ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে আর্জেন্টিনার এক সমর্থক দাবি করেন ২০১০ সাল থেকেই তারা এভাবে পতাকা টাঙানোর মহা উৎসবের আয়োজন করেন। এর পর থেকে বাড়তে থাকে ভক্তবৃন্দ। প্রথম পর্যায়ে অল্প কিছু সমর্থকরা থাকলেও এখন ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়েছে অনেকেই।
জসিম নামের আর্জেন্টিনার এক সমর্থক বলেন। আমি সব সময় আর্জেন্টিনার সমর্থক। এই দল আমার খুবই প্রিয় বেশ করে মেসির খেলা ভালো লাগায় আমি এই দলকে সাপোর্ট করি। যেদিন আর্জেন্টিনার খেলা হয় সেদিন আমি সব কাজ বাদ দিয়ে প্রিয় দলের খেলা দেখি। এজন্যই আমরা আর্জেন্টিনা দলের প্রতাকা টাঙিয়ে প্রিয় দলকে সাপোর্ট করছি। এদিকে ব্রাজিলের এক সমর্থক বলেন, আমার হৃদয়ে গাঁথা ব্রাজিল। সেই শৈশব কাল থেকেই ফুটবলের রাজা পেলের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। মূলত তখন থেকেই ব্রাজিলের চরম ভক্ত আমি। আশা করছি এবার বিশ্বকাপ ব্রাজিল জিতবে। তবে সেইটা আমাদের প্রতিপক্ষ দল আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা পথচারীরা বলেন, ফুটবল খেলা এমন একটি খেলা যেটা বিশ্বকাপ আসলেই বোঝা যাই। আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল টিম খেলার সুযোগ না পেলেও ভবিষ্যতে হইতো পাবে। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে ক্রিড়াঙ্গানে খেলা প্রেমি রয়েছেন। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থকরা বেশি অন্য দলের ও আছে তবে কম। রাস্তা দিয়ে যেতেই হঠাৎ চোখে বাদে রাস্তার দুই-পাশ টাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা বেশ সরু ও লম্মা লাইন ধরে ছেঁয়ে গেছে এই দুই দলের টাঙানো পতাকা। অনেক ভালো লাগছে দেখে যে আমাদের দেশের মানুষ কতটা খেলা প্রেমি তারা নিজ দেশের পাশাপাশি অন্য দেশকেও ভালোবাসে। এলাকাবাসী সূত্রে যানা যাই ,বিশ্বকাপ আসলেই প্রতিবছর এই এলাকায় খেলার উৎসবে মেঠে উঠে সকলে। সবাই এক সাথে খেলা দেখে কারোর মধ্যে কোনো দিদাতন্ত্র হিংসা হিংসে নেই। শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতি বছরে খেলা দেখে তারা। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাকী আল বাদসা বলেন, সারাদেশের ন্যায় বাংলাদেশে ও চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার আমেজ আমাদের বাকচি সাতঁপাখি এলাকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থকরা প্রতাকা টাঙিয়েছে। কোনভাবে যাতে হট্টগোল বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে দিকে খোঁজ খবর রাখছি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মহসিন হোসেন বলেন, যার যার পছন্দের দল সেই সেই সমর্থন করবে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনো অবনতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, যে যেই দললে পছন্দ করে সে সেই দলের প্রতি খেলায় দৃষ্টি বেশি দেই। কেও যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।