গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের বহুল আলোচিত রফিজুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়া দুই সহযোগীসহ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাতে জাল ডলারের কারবার করতে গিয়ে গণপিটুনির স্বীকার হয়েছেন। জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে ৩৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে ভেড়ামার থানা পুলিশ। ভেড়ামারা থানার সেকেন্ড অফিসার প্রতাপ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপর দুই সহযোগীরা হলেন গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে বিসাদ আলী।
ভেড়ামারা থানার সেকেন্ড অফিসার প্রতাপ রায় বলেন, ভেড়ামারা রেল স্টেশনের পাশে অভিযুক্ত তিনজন জাল ডলারের কারবার নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক সময় স্থানীয়রা তাদের গণধোলায় দেয়। এসময় স্থানীয়দের দেওয়া খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার কোনো বাদি না পাওয়ায় পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় মামলা দেওয়া হয়। যার মামলা নং ৭০/২২, তারিখ ১১/১১/২০২২ ইং।
ভেড়ামাড়া রেললাইন পাড়া এলাকার সাবুর আলী ও রহমত আলী বলেন, ওই তিনজন এলাকায় জাল ডলার পাচারের একটি চক্র গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল। স্থানীয় মানুষজন তাদের সন্দেহ করে গণধোলায় দিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, রফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ একাধিক অভিযোগে ৬ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সে নিজেকে কখনো কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়াতো।