মেহেরপুর-মুজিবনগর বাইপাস সড়কের পাশে হেড়িগাড়ী মাঠ নামকস্থানে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি মসজিদ নির্মানের নামে পথচারিদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি করছেন। গ্রামবাসী তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও মসজিদ নির্মান কাজ সম্পর্কে অবগত নন।
এছাড়া নির্মানাধীন মসজিদের স্থান থেকে পশ্চিম পাশে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রাম প্রায় ৩ কিলোমিটার এবং পূর্বদিকে সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রাম ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর মধ্যে কোন জনবসতি নেই। এমতাবস্থায় মসজিদ তৈরির নামে এলাকাবাসী অবৈধ উপার্জনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতিকার চেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ মুজিবনগর বরাবর আবেদন করেছেন।
মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামবাসীর পক্ষে ওই গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত কামাল মন্ডলের ছেলে হাবীব, মৃত হেকমতের ছেলে বজলু, মৃত আলম গাইনের ছেলে আমজাদ গাইন, বজলুর ছেলে শুভ, মৃত লাল চাঁদের ছেলে মোঃ আমজাদ ও আপে গাজীর ছেলে সাজেদুল গাজী সহ প্রায় ১৪-১৫ জন অসাধু ব্যক্তি যারা দিনের বেলায় কোন কাজকর্ম করেন না; বরং নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত থাকেন, তারা মসজিদ নির্মানের উদ্যোক্তা। উক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আমজাদ এক সময় ডাকাতি ও রাহাজানি করত। বর্তমানে উল্লিখিত ব্যক্তিরা ধর্ম ব্যবসার খাতায় নাম লিখিয়ে উপার্জনের জন্য নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন।
উল্লিখিত ধর্মের নামে চাঁদাবাজরা মসজিদ নির্মানের জন্য কোন সভা ডাকেননি ও রেজুলেশন করেননি এবং ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ এবং গ্রাম্য মাতব্বরদের কিছুই জানা নাই। তারা মসজিদের নামে প্রায় একমাস ধরে রাস্তায় চলাচলরত ব্যক্তিদের নিকট হতে জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলন করে নিজেদের পকেটজাত করছেন।
প্রায় ৮-৯ মাস হেড়িগাড়ী মাঠ নামক স্থানে একটি দোকান বসেছে। ওই দোকানে বসে তারা এসব অপকর্ম করেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার মাদক ব্যবসা ও সেবন করেন। যে কারণে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। এছাড়া ওই দোকানে বসে তারা রাস্তায় চলমান নারীদের না ধরণের টোন করেন। মসজিদ তৈরির নামে তারা ইসলাম ধ্বংস করছেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এ বিষয়ে জরুরী লাগাম টেনে ধরা প্রয়োজন মনে করে গ্রামবাসী। তাই গ্রামবাসী ওইসব ভন্ড ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতিকার চেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ মুজিবনগর বরাবর আবেদন করেছেন।