৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে জাতীয় পতাকা, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে জাতীয় জেল হত্যা দিবসের দিন ব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহমেদ,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল জাতীয় পতাকা, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় ৪ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এসময় এম.এ খালেক বলেন, তেশরা নভেম্বরের এই দিনটি একটি শোকের দিন এই দিনটিকে শক্তি রূপান্ত করবো। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংগঠনকে শক্তিশালী করছি এবং জনমানুষকে সংঘটিত করে আগামী দিনে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।
মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসেম,বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জামান, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস আলী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা, পৌর কাউন্সিলর রোকসানা কামালসহ জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।