রাত পোহালেই খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে মেহেরপুর জেলা ও তিন উপজেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে যাত্রা করেছেন। সমাবেশস্থলে যেনো যোগ না দিতে পারে সে লক্ষে রাতের আঁধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকেই অঘোষিত পুলিশি ব্যারিকেড তৈরি করার অভিযোগও করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে অংশগ্রহন করতে বেশ কিছুদিন থেকেই জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করে। এবং অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের দুই দিন আগেই অঘোষিত অবরোধ বা হরতাল পালন হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মেহেরপুর জেলা, উপজেলা বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কয়েকদিন থেকেই ট্রেন, বাস ও মোটরসাইকেলযোগে অনেকেই খুলনায় পৌছে গেছেন। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ বলেন, বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের নেতা কর্মীরা ইতিমধ্যে কেউ কেউ রওনা হয়েছেন। আবার কেউ কেউ আজ রাত্রে রওনা দেবেন। তিনি আরো জানান, জেলায় প্রকাশ্যে পুলিশি কোন ঝামেলা না থাকলেও গত বৃহস্পতিবার রাত্রে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি যেয়ে কর্মীদের সমাবেশে না যাওয়ার জন্য হুমকী দিয়ে এসেছে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, আমি গতরাতে ঢাকা থেকে খুলনায় পৌছেছি। তবে আমি ঢাকা থেকে বাগেরহাট পর্যন্ত কোন বাঁধার সম্মুখিন না হলেও রাত সাড়ে তিনটার দিকে রুপসা ব্রিজের আগেই একটি স্থানে ২০-২৫ যুবক বসে ছিলো। আমি কে তা জানে না তাই হয়তো ঝামেলা করেনি। তবে আমাদের মেহেরপুরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কৌশলে খুলনা পৌছে যাবে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ মোহাম্মদ জানান, আমরা মাইক্রো নিয়ে রাতে রওনা দিবো কিছু কিছু বাঁধার সম্মুখিন হতে পারি সেটা জেনেই বিকল্প রাস্তায় পৌছাবো।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, আমরা অনেক নেতাকর্মী ট্রেনে যাচ্ছি।
তবে এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাইফুল আলম জানান, আমরা এরকম কোন কাজে যায়নি।