• বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

ডলারের দাম আরও ১ টাকা বেড়ে ৯৭ টাকা

বিবর্তন বাংলা ডেস্ক / ২১৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২
ডলারের দাম
ডলারের দাম আরও ১ টাকা বেড়ে ৯৭ টাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে দাম ১ টাকা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে বুধবার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯৭ টাকা দরে প্রতি ডলার বিক্রি করেছে।

গত মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতি ডলারের দাম ছিল ৯৬ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ালেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম বাড়েনি। আমদানির জন্য প্রতি ডলার সর্বনিম্ন ১০১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোই বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। কেননা সরকারি ব্যাংক বেশি দামে রেমিট্যান্স কিনে ডলার কেনার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো তুলনামূলক কম দামে রেমিট্যান্স কিনছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ডলারের দাম বাড়িয়েছিল ১ টাকা। ওই সময়ে ৯৫ থেকে বাড়িয়ে ৯৬ টাকা করেছিল। এক মাস পর তারা আবারও ডলারের দাম বাড়াল।

বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের দাম প্রায় চার থেকে ১০ টাকা কম। যে কারণে বাজারে সমতা আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়িয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়িয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছাকাছি নিয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আমদানির জন্য ডলারের দামের ব্যবধান ৫ পয়সার মধ্যে নিয়ে আসবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার বাড়তি দরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। আমদানির দেনা পরিশোধের জন্য এসব ডলার বিক্রি করেছে।

সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৭ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন মাসে ৪ কোটি দুই লাখ ডলার বিক্রি করেছে। ফলে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। বুধবার রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ৬৪৪ কোটি ডলার।

গত জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে প্রতি ডলার গড়ে ৮৬ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা করে।

এদিকে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (এবিবি) রপ্তানি বিল নগদায়নে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা ও বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে। আগে রেমিট্যান্সের দর ছিল ১০৮ টাকা। এর আগে সরকারি ব্যাংকগুলো ১১১ টাকা করে রেমিট্যান্স কিনেছে। রেমিট্যান্সের দাম কমানোর ফলে গত সেপ্টেম্বরে এর প্রবাহ কমে গেছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় মন্দায় কারণে রপ্তানি আয়ও কমছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে সংকট আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে রপ্তানিকারকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে— রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের ডলার কেনার মধ্যে ব্যবধান সাড়ে ৮ টাকা। একই ডলার কেনায় এত বেশি ব্যবধান হতে পারে না। আবার রপ্তানি বিল ও আমদানির জন্য ডলারের ব্যবধান হচ্ছে ২ থেকে ৮ টাকা। এত বেশি ব্যবধানের কারণে রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ কারণে রপ্তানি বিল কেনার দাম বাড়িয়ে ব্যাংকগুলোর ডলার কেনাবেচার ব্যবধান সর্বোচ্চ ১ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) থেকে এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করা হয়েছে। তারা অবিলম্বে ডলারের দাম সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছেন। চিঠির একটি অনুলিপি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছেও পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!