প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলে যদি একজন কাউন্সিলরও আমাকে নেতৃত্বে না চায় তাহলে আমি থাকবো না। আমি বিদায় নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় কাউন্সিল ডিসেম্বরে। আওয়ামী লীগ প্রতিবারেই ডিসেম্বরে কাউন্সিল করে থাকে। আগামী কাউন্সিলে নেতৃত্বে নতুন কোনো চমক থাকছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কাউন্সিলরও যদি আমাকে না চায়, তাহলে আমি কোনোদিনই নেতৃত্বে থাকব না।
তিনি বলেন, যেদিন থেকে আওয়ামী লীগে আমার অবর্তমানে আমাকে প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে তখন থেকেই আমি এই শর্ত মেনে যাচ্ছি। এটা ঠিক যে দীর্ঘদিন হয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, কাউন্সিলররা নেতৃত্ব ঠিক করে থাকে। কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমার তো অশনী সময় হয়ে গেছে। জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছেন। এরপর এদেশে ঘটেছে হত্যা, ক্যুর রাজনীতি, গণতন্ত্র ছিল না। মিলিটারি শাসক ছিল। অনেক চড়াই উৎরাই পার করে গণতন্ত্র উদ্ধার করেছি।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এরমধ্যে অগ্নিসংযোগসহ অনেক ঘটনা ঘটেছে। এরপরও আমরা একটানা ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এখন আমি বিদায় নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো সংলাপ হবে না। নির্বাচনে অংশ নেওয়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমরা কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। তবে চাইবো- সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক দল অংশ নেবে না বলে আসছে- এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকার কী ভাবছে– এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট চুরি করে কখনো ক্ষমতায় বসেনি, বসবেও না আওয়ামী লীগ। আমরা চাই, সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কাউকে জিতিয়ে দেয়ার শর্তে তো আনা যায় না।