‘ঠোঁটকাটা’ বলে সুনাম, দুর্নাম দুই আছে স্বস্তিকা মুখার্জির। তাতে অবশ্য তেমন চিন্তিত নন। তাঁর শরীরের গঠন, পোশাক, এমনকি চুলের স্টাইল নিয়েও নিরন্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়, তা তিনি বেশ জানেন।
শুধু সমালোচনার মাত্রাটা যখন শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যায় তখনই ফোঁস করে ওঠেন তিনি। আবার তাঁর সোজাসাপ্টা উত্তর দেওয়ার ধরন নিয়েও চর্চা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে স্বস্তিকা বলেন, ‘পেশার কারণে আমার শরীর সব সময়ই আমার কাছে আগ্রহের বিষয়। আমার ত্বকের রং বা শরীরের গড়ন নিয়ে কখনোই চিন্তিত ছিলাম না, অসাধারণ কিছু পেয়েছি বলেও মনে করিনি। তবে লোকে নানা কথা বলেন। কেউ বলেন আমার শরীর ছিরিছাঁদহীন, কেউ বলেন কার্ভি, কেউ ভাবেন আমি চর্বির স্তূপ, কেউ আবার ভাবেন আমি আকর্ষণীয়।
স্বস্তিকা বলেন, ‘আমি নিজেকে দেখি একটা ফাঁকা পাত্র হিসেবে। চরিত্রে অভিনয় করার প্রয়োজনে কখনো ওজন বাড়াই, কখনো কমাই। বাঁধাধরা চেহারা কখনোই তো থাকে না।
শুধু শরীর বা চেহারা নয়, স্বস্তিকা অকপট তার জীবনযাপন থেকে জীবনবোধ—সব নিয়েই। তার নিজের ভাষায়, ‘একসময় জীবনরসে ভরপুর দিন কেটেছে। ইচ্ছেমতো খেয়েছি, আনন্দ করেছি। কিন্তু বয়স চল্লিশ ছুঁতেই আমি স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলাম। শরীরচর্চা শুরু করলাম। ফিটনেস ট্রেনার আমায় বলে যাচ্ছে, আর একটু, আর একটু। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই মনে হলো পারব না।
অভিনেত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি বদলাতে ১০০ বছর সময় নিয়ে ফেলব। প্রতিদিন কেঁদেছি। তবে হাল ছাড়িনি। আমার শরীরের যে জায়গাগুলোয় মায়ের আদর আঁকা ছিল, সেগুলো একটু একটু করে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মনে হয়, মা হয়তো খুশিই হবেন। কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমি এই সব কিছুই আমার নিজের জন্য করছি। ’
পর্দা এবং পর্দার বাইরেও উজ্জ্বল উপস্থিতি স্বস্তিকার। সব সময় নিজের সাঁজ ও পোশাকে নজর কাড়েন।