কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে সুরভি (০৫) নামের কন্যা শিশুর বাম হাতের কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একইসঙ্গে শিশুটির মা সুমি (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত সুমি খাতুন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় সি ব্লকের সাপ্পী ইসলামের স্ত্রী।
প্রায় ১২ বছর আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের সুমির সঙ্গে সাপ্পীর বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছর বয়সী এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আহতের স্বজনরা জানান, স্বামীর সঙ্গে সুমির মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো।
শনিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে সুমি তার ৫ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটি মারাত্বকভাবে জখম হয়।এছাড়া মা ও শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় মালবাহী ট্রেনের চাপায় শিশুর হাতের কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছে। আমরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির বিচ্ছিন্ন হওয়া বাম হাতের ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। শিশুটি ও তার মায়ের হাত-পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তারা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজের আলী বলেন, সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী মালবাহী ট্রেনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।